সীমান্তে হত্যার রিপোর্ট (সূত্রঃ অধিকার)

আচ্ছা আপনারা যখন ‘পৃথিবীর সবচাইতে ডেডলি বর্ডার’ কথাটা শোনেন তখন কোন কোন দেশের নাম মাথায় আসে? নিশ্চয় ভারত-পাকিস্তান, নর্থ কোরিয়া-সাউথ কোরিয়া, মেক্সিকো-ইউনাইটেড স্টেইট অথবা পাকিস্তান-আফঘানিস্তান-ইরান?

উপরে যে দেশগুলোর নাম বললাম সেগুলোর মধ্যে মেক্সিকো-ইউনাইটেড স্টেট বাদ দিলে বাকি গুলো আপাত দৃষ্টিতে শত্রু দেশ। এরা আইদার ঐতিহাসিক ভাবেই শত্রু দেশ অথবা কনফ্লিক্ট অব ইনটারেস্টের কারণে একে অপরকে আপাতত শত্রু হিসেবে দেখে।

একটু খোঁজ নিয়ে দেখলেই বুঝবেন এইসব ‘কার্যত’ ডেডলি বর্ডারের থেকে বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার আরো অনেক বেশি ডেডলি।

অথচ ভারত আমাদের ‘বন্ধু’ দেশ। আমাদের ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী’র নিজস্ব ভাষ্যমতেই উনি ভারতকে যা দিয়েছেন তা ভারত কোনোদিন ভুলতে পারবেনা। আবার ভারতও আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের যেভাবে যতটুকু হেল্প করেছে আমরাও সেটা কোনোদিন ভুলতে পারবোনা।

৭১ এ ভারত আমাদের সাহায্য কিজন্য করেছে, এতে তাদের কোনো উদ্দেশ্য বা লাভ ছিলো কিনা সেই আলাপে আজকে যাবোনা। শুধু এটুকু বলতে এসেছি যে বন্ধু রাষ্ট্রের অবদান ভুলার থেকে আমাদের দেশি চাষা-ভুষাকে, আমাদের ফেলানীকে ভুলে যাওয়া সহজ। কারণ ভারত সাহায্য না করলে হয়তো এরা জন্মই নিতে পারতোনা, জন্মের পেছনে যার হাত আছে মারার অধিকার তার থাকবেই।

Featured Image Courtesy: অধিকার

Leave a Reply