পাকিস্থান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা কায়দে আজম মোহাম্মাদ আলি জিন্নাহ

হিন্দুস্তান থেকে মুসলিম বঙ্গের স্বকীয়তা ছিনিয়ে আনার পেছনে যে কজন মনিষীর অবদান রয়েছে কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ তাদের মধ্যে অন্যতম। উনি জাতিতে ছিলেন গুজরাটি, পড়াশোনা করেছেন ইংরেজিতে আর পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চেয়েছিলেন উর্দুকে। উপমহাদেশের ডে ফ্যাক্টো ল্যাংগুয়েজ হিসেবে উর্দু অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসলেও তিনি নিজেই উর্দুতে ফ্লুয়েন্ট ছিলেননা। তার উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাওয়ার রিজন হিসেবে তিনি তুলে ধরেছিলেন হিন্দু মেজরিটি ইন্ডিয়ার হিন্দিকে আপন করে নেওয়া এবং পাকিস্তানের ‘ইসলামিক’ আইডেন্টিটি।

তিনি জন্মেছিলেন এক রিভার্ট হিন্দু পরিবারে। তার পরিবার সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে শিয়া-ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে আল্লামা ইকবালের সান্নিধ্যে তিনি নিজেকে সুন্নি মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন।

মানুষ হিসেবে তিনি পারফেক্ট ছিলেননা। বাকিদের মতো তার জীবনেও অনেক ভুল রয়েছে। কিন্তু সবকিছুর উর্ধ্বে তিনি এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি রেস্পেক্ট পাবার যোগ্য। তবে যেই পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য তিনি এত ত্যাগ স্বীকার করলেন, এত এফোর্ট দিলেন সেই পাকিস্তান সৃষ্টির এক বছরের মাথায় ১৯৪৮ সালে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। একাত্তর এবং বর্তমানে পাকিস্তানি ‘ইসলামিক’ আর্মির কর্মকাণ্ড দেখলে তিনিই হয়তো সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেতেন, আশাহত হতেন।

আল্লাহুম্মাগ ফিরলি।

Leave a Reply